ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় শারদীয় দূর্গোৎসবের ব্যাপক প্রস্তুতি নিরাপত্তায় মাঠে থাকবে পুলিশ বাহিনী

durga-potimaমিজবাউল হক, চকরিয়া :

চকরিয়া উপজেলায় আগামী ৭অক্টোবর শারদীয় দূর্গোৎসবের ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি পাড়া মহল্লায় চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়, মন্দির এবং বাসা বাড়ির মন্ডপের প্রতিমায় চলছে রং তুলির শেষ আচর।

পুলিশ জানায়, এবার উপজেলার ৪২টি প্রতিমা ও ৩৭টি ঘঠ পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি পূজা মন্ডপের সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রতিমা গুলোতে রং তুলির শেষ আচর চলছে পুরোদমে। তাছাড়া পূজা মন্ডপ গুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ দেয়া হবে। গত ২৮সেপ্টেম্বর উপজেলা পরিষদের মোহনায় পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে মন্ডপের নিরাপত্তার বিষয়ে বৈঠক করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার সদর সার্কেল সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মতিউল ইসলাম, চকরিয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান ও ওসি (তদন্ত) কামরুল আজম। প্রত্যেক পূজা মন্ডপে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত থাকবে পুলিশ, আনসাসের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের কর্মী বাহিনী। তারা সার্বক্ষতিক নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলবে মন্দিরের আশপাশ এলাকায়। যাতে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। মাঠে থাকবে পুলিশের স্ট্রাকিং ফোর্স।

এবার চকরিয়া উপজেলায় ৪২টি প্রতিমা ৩৭টি ঘঠ পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমান সরকার দূর্গা পূজা সফল ভাবে সম্পন্ন করতে এসব মন্ডপ গুলোতে ৪০মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া দিয়েছে। ইতোমধ্যে বরাদ্দের তালিকা চুড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছন চকরিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশ। তিনি আরও বলেন, অন্যান্য বারের মত এবারো সরকার বরাদ্দ দিয়েছে। বরাদ্দ গুলো সঠিকভাবে পায় সেজন্য প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরের দূর্গা পূজাকে ঘিরে রকমারী দোকানের প্রস্তুতিও চলছে। দোকান গুলো মন্দিরে সামনে বেচাকেনা করে থাকেন। পুলিশ, আনসার ও সংগঠনের কর্মী বাহিনী সার্বক্ষনিক নিরাপত্তার জন্য দায়িত্ব পালন করবেন করবেন বলে তিনি জানান।

এদিকে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি এম আর চৌধুরী জানান, এবার পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গোৎসব পালনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষে এখন চলছে রং তুলির আচঁড় দিয়ে সাজানো। এছাড়াও পূজা মন্ডপে ডিজিটাল সাউন্ড সিষ্টেম আর রকমারী আলোর বাহারে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হবে সনাতনীর বিভিন্ন দিক এমনটি প্রত্যাশা করেছেন তিনি।

তিনি আরও জানান, অষ্টমীর দিন পূজারীদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করা হবে। এ উপলক্ষে চকরিয়া কেন্দ্রীয় কালী বাড়ী প্রাঙ্গণে অদ্বৈত্য অচ্যুত মিশন চকরিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন, প্রিয়তোষ দাশ। এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহসভাপতি এম আর চৌধুরী এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দীপক চৌধুরী।

পাঠকের মতামত: